ভারতীয় সংবিধান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি।

ভারতীয় সংবিধান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি।

1. ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ।

2. 42তম সংশোধনীতে ‘সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি যখন ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় যোগ করা হয় তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন—ইন্দিরা গান্ধি।

3. ভারতের সংবিধানে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণাটির প্রয়োগ দেখা যায়—নির্দেশমূলক নীতিসমূহে।

4. ব্যক্তির অধিকারের রক্ষাকবচ—হেবিয়াস করপাস।

5. সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে কার্যকর করতে বিশেষ নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে—সুপ্রিমকোর্টকে।

6. সংবিধানের একাদশ তফশিলটি হল পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থা (1992 সালের 73 তম সংশোধনীতে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত)।

7. সংবিধানের দ্বাদশ তফশিলটি হল —– মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের প্রশাসনিক ক্ষমতা (1992 সালের 74তম সংশোধনীতে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত)।

8. সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে বাধানিষেধ আরোপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে—পার্লামেন্টকে।

9. রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো

বিরোধ দেখা দিলে তার নিষ্পত্তি করে—সুপ্রিমকোর্ট।

10. রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে বা তাঁর মৃত্যু হলে সেই সময়

উপরাষ্ট্রপতির পদে কেউ না থাকলে রাষ্ট্রপতি পদের কার্য নির্বাহ করেন— সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

11. সংবিধানে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ কিংবা ‘শান্তি চুক্তি’ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে—রাষ্ট্রপতিকে।

12. রাষ্ট্রপতি যদি কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই

পদত্যাগ করতে চান তাহলে তাঁকে পদত্যাগপত্র দিতে হয়— উপরাষ্ট্রপতির কাছে।

13. কোনো কারণে রাষ্ট্রপতির পদ খালি হলে সংবিধান অনুসারে নতুন রাষ্ট্রপতির নির্বাচন করতে হয় – 6 মাসের মধ্যে।

14. পরপর দুবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন—ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ।

15. সংবিধান অনুসারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন—রাষ্ট্রপতি।

16.  জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা সংবিধানের যে ধারায় দেওয়া হয়েছে–352 ধারায়।

17. রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় – 356 ধারায়।

18. ভারতীয় সংবিধানে আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে-360 ধারায়।

19. রাজ্যপাল তাঁর কাজের জন্য দায়িত্বশীল থাকেন—রাষ্ট্রপতির কাছে।

20. এ পর্যন্ত জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়েছে—তিনবার (1962 (ইন্দো-চিন যুদ্ধ), 1971 (ইন্দো-পাক যুদ্ধ) ও 1975)।

21. রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন—

মন্ত্রীপরিষদের সুপারিশমতো।

22. একটি আইনের প্রস্তাব পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে অনুমোদিত হয়ে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য গেলে— প্রস্তাবটিকে তিনি পুনর্বিবেচনার জন্য পার্লামেন্টের কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন।

23. উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে সভাপতিত্ব করেন— রাজ্যসভার অধিবেশনে।

24. সংবিধানের 17 তম ভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত—সরকারি ভাষা (343-351 ধারা)।

25. ভারতের নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে -15 তম ভাগে (324-329 ধারা)।

26. একজন ব্যক্তি পার্লামেন্টের কোনো কক্ষের সদস্য না হয়েও মন্ত্রীপরিষদের সদস্য নিযুক্ত হতে পারেন-6 মাস পর্যন্ত।

27. লোকসভার দুটি অধিবেশনের মধ্যে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবধান হতে পারে – 6 মাস।

28. পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই লোকসভাকে ভেঙে দিতে পারেন—প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শমতো রাষ্ট্রপতি।

29. রাজ্যসভার নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যা – 238 জন।

30. লোকসভায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সর্বোচ্চ সদস্যসংখ্যা— 20

31. লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হন — লোকসভার সদস্যদের Dara..

32 রাজ্যসভায় যে রাজ্যের প্রতিনিধি সবচেয়ে বেশি — উত্তরপ্রদেশ।

33. জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলে রাষ্ট্রপতি লোকসভার আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারেন — এক বছর।

34. লোকসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন—স্পিকার।

35. সুপ্রিমকোর্টের কোনো বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারেন – পার্লামেন্ট বা সংসদ সুপারিশ করলে।

36. অর্থ বিল কখনোই উত্থাপিত হয় না – রাজ্যসভায়।

37. জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলে রাষ্ট্রপতি লোকসভার আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারেন – এক বছর।

38. লোকসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন—স্পিকার।

39. সুপ্রিমকোর্টের কোনো বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারেন — পার্লামেন্ট বা সংসদ সুপারিশ করলে।

40. অর্থ বিল কখনোই উত্থাপিত হয় না – রাজ্যসভায়।

41. অর্থ বিল রাজ্যসভায় প্রেরিত হওয়ার পরে সেটিকে ফেরত পাঠাতে হয় – 14 দিনের মধ্যে।

42. ভারতের রাষ্ট্রপতি ও পার্লামেন্টের মধ্যে সংযোগ রক্ষা

করেন — প্রধানমন্ত্রী।

43. কোনো রাজ্যের রাজ্যপালের মৃত্যু হলে বা তিনি পদত্যাগ করলে নতুন রাজ্যপাল নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেন — রাজ্যের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

44. রাষ্ট্রপতি কোনো রাজ্যের রাজ্যপালকে নিয়োগ করার আগে পরামর্শ করেন — সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।

45. কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোনো রাজ্যপাল পদত্যাগ করতে চাইলে তাঁকে পদত্যাগপত্র পাঠাতে হয়- রাষ্ট্রপতির কাছে।

46. রাজ্যপালকে শপথবাক্য পাঠ করান—রাজ্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.