কোশচক্র কাকে বলে ? And কোশচক্র বলতে কী বােঝায় ?

কোশচক্র কাকে বলে ?

কোশ বিভাজনের জন্য প্রয়ােজনীয় প্রস্তুতি পর্যায় (ইন্টারফেজ দশা—G1, S, G2) এবং বিভাজনের অন্যান্য পর্যায়কে (M এবং D-দশা) একত্রে কোশচক্র বলে।

ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানী হাওয়ার্ড এবং পেক্ক (Howard and Pelc, 1953)- এর মতে কোশচক্রে পাঁচটি দশা বর্তমান

1) G1 (প্রারম্ভিক দশা বা প্রান্সংশ্লেষ দশা): এই দশায় rRNA, mRNA এবং tRNA, রাইবােজোম, প্রােটিন প্রভৃতি সংশ্লেষিত হয়।

2) S (সংশ্লেষ দশা): এই দশায় DNAর প্রতিলিপি গঠনের মাধ্যমে দ্বিত্বকরণ ঘটে। ক্রোমােজোম দুটি ক্রোমাটিডযুক্ত হয়।

3) G2 (সংশ্লেষ পরবর্তী দশা): এই দশায় RNA সংশ্লেষ, প্রােটিন সংশ্লেষ, কোশ-অঙ্গাণু সংশ্লেব, উৎসেচক সংশ্রেয় সম্পূর্ণ হয় এবং সেন্ট্রিওলের বিভাজন ঘটে।

4) M (মাইটোসিস বা মিয়ােসিস-এর নিউক্লিয় বিভাজন দশা): এই দশায় প্রােফেজ, মেটাফেজ অ্যানাফেজ এবং টেলােফেজ-এর মাধ্যমে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়।

5) D (সাইটোকাইনেসিস): সাইটোপ্লাজমের বিভাজন পদ্ধতিকে বলা হয় সাইটোকাইনেসিস। টেলােফেজ দশায় নিউক্লিয়াস বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গেই সাইটোপ্লাজমের বিভাজন শুরু হয়ে যায়।

উক্ত দশাগুলির মধ্যে G1, S এবং G2-কে বলে ইন্টারফেজ দশা। মানবদেহের নির্দিষ্ট কোশ বিভাজনের জন্য মােট প্রায় 18 ঘণ্টা সময় লাগলে তার প্রায় 17 ঘণ্টা শুধুমাত্র ইন্টারফেজ দশা সম্পন্ন করতে

এবং বাকি 1 ঘণ্টা সময় কোশ বিভাজনের জন্য লাগে। [কোশচক্র কোনােখানে কোনাে কারণে থমকে গেলে উক্ত স্থির দশাকে G0, দশা বলে স্নায়ুকোশ, পেশিকোণ ইত্যাদিতে G0 দশা দেখা যায়]

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.