গৌষ্টিক গ্রন্থি কাকে বলে? কুনোব্যাঙের পৌষ্টিক গ্রন্থির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

গৌষ্টিক গ্রন্থি কাকে বলে?: পরিপাকনালির সঙ্গে যুক্ত যে গ্রন্থিগুলি থেকে পরিপাক রস নিঃসৃত হয় তাদের পৌষ্টিক গ্রন্থি বলে। যেমন যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়,পাকগ্রন্থি, আন্ত্রিক গ্রন্থি।

কুনোব্যাঙের পৌষ্টিক গ্রন্থির বর্ণনা:

কুনোব্যাঙের পৌষ্টিক গ্রন্থিগুলি হল—যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, পাকগ্রন্থি ও আন্ত্রিক গ্রন্থি।

1. যকৃৎ: কুনোব্যাঙের দেহের সবচেয়ে বড়ো গ্রন্থি হল যকৃৎ। এটি গাঢ় বাদামি রঙের এবং হৃৎপিণ্ডের কাছে এর অবস্থান। এটি প্রধানত দুটি খণ্ডে বিভক্ত—বামখণ্ড ও ডানখণ্ড। খণ্ড দুটির মাঝের অংশ মধ্যখণ্ড নামে পরিচিত।

ডানখণ্ডের ওপরে একটি গোলাকার সবুজ পিত্তাশয় বা পিত্তথলি থাকে। যকৃতে উৎপন্ন পিত্ত পিত্তাশয়ের মধ্যে সাময়িকভাবে জমা থাকে।

কাজ: যকৃৎ থেকে নিঃসৃত পিত্তরস স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিপাক ও শোষণে সাহায্য করে।

2. অগ্ন্যাশয় : এটি সাদা এবং ঈষৎ বাদামি রঙের অনিয়ত আকৃতির পাচক গ্রন্থি। এটি পাকস্থলী ও ডুওডিনামের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত।

কাজ: অগ্ন্যাশয় থেকে অগ্ন্যাশয় রস নিঃসৃত হয়। এতে উৎসেচক থাকে যা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটজাতীয় খাদ্যবস্তুর পরিপাকে সাহায্য করে।

3. পাকগ্রন্থি: পাকস্থলীর অন্তর্গাত্রে অবস্থিত গ্রন্থিগুলি পাকগ্রন্থি নামে পরিচিত।

কাজ: পাকগ্রন্থি নিঃসৃত পেপসিন নামক উৎসেচক প্রোটিন জাতীয় খাদ্যকে আংশিক পাচিত করে।

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.